রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে মন্দ কাজে বাধা না দিলে তাতে জনপ্রিয়তা বাড়ে না বরং কমে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। 

শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিলনায়তনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের পাশাপাশি এর রক্ষণাবেক্ষণ ও সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয়ভাবে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। 

হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার ওপর জোর দিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, পর্যটকরা যাতে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা না ফেলে, সে বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

কিশোরগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় রাষ্ট্রপতি নিজ বাড়ি থেকে ‘হাওরের বিস্ময়’ অলওয়েদার সড়ক পথে অষ্টগ্রাম উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। পথিমধ্যে তিনি অষ্টগ্রামের জিরো পয়েন্টে নেমে সেখানে অলওয়েদার সড়কে নির্মিত ভাতশালা সেতু পরিদর্শন করেন। পরে সেখান থেকে তিনি ডাকবাংলোয় পৌঁছে গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। তিনি সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেন। পরে রাষ্ট্রপতি পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি স্থানীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি জানাসহ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের আরও বেশি কার্যকরী ভূমিকা পালনে দিক-নির্দেশনা দেন। পরে তিনি পূর্ব অষ্টগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন ‘আবদুল হামিদ চত্বর’ পরিদর্শন করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহম্মেদ তৌফিক, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম, পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীনসহ সামরিক-বেসমারিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৭ দিনের কিশোরগঞ্জ সফরের তৃতীয় দিন ১৪ নভেম্বর বেলা ১১টায় মিঠামইন সেনানিবাসের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন করবেন। সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি তার বাবা হাজী তায়েব উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে অংশ নেবেন। পরে মিঠামইনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিলনায়তনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।

এদিন নিজ বাড়িতে রাতযাপন শেষে পরদিন ১৫ নভেম্বর দুপুর আড়াইটায় ইটনা যাবেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন শেষে সন্ধ্যায় ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মিলনায়তনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর ইটনা থেকে মিঠামইনে নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন।

১৬ নভেম্বর বিকেল ৩টায় মিঠামইন থেকে হেলিকপ্টারে কিশোরগঞ্জ সদরে পৌঁছাবেন। কিশোরগঞ্জ শহরের খড়মপট্টিতে নিজ বাসায় রাতযাপন শেষে পরদিন জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ১৮ নভেম্বর দুপুরে সফর শেষ করে ঢাকায় ফিরবেন রাষ্ট্রপতি।

এসকে রাসেল/আরএআর