লালমনিরহাটের আদিতমারীতে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৬২ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে আদিতমারী উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে নতুন ওয়ার্ড চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাতে ৮টার দিকে আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

নতুন ওয়ার্ড চালুর তথ্য নিশ্চিত করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহমেদ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬২ জন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) আদিতমারী উপজেলার আট ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত নারী সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কিছু লোক আহত হয়। আহতদের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আদিতমারী হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় নতুন ওয়ার্ড চালু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের আইশোলেসন ওয়ার্ডেও রাখা হচ্ছে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত রোগীদের। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরাও বেশ ব্যস্ত রয়েছেন। অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭২ ঘণ্টায় নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হয়ে এ হাসপাতালে ৬২ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে আটজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রেফার করা হয়েছে। 

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌফিক আহমেদ জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় আহত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় নতুন ওয়ার্ড চালু করা হয়েছে। তবে রোগীদের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত ওষুধপত্রসহ চিকিৎসক রয়েছে।

এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দমানোর জন্য থানা পুলিশের নিয়মিত টহলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে পাঁচটি মোবাইল টিম। তবুও দমানো যাচ্ছে না নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা। হামলার শিকার লোকজন বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করছেন। সে দিক থেকে থানায় অভিযোগের চাপও বেড়েছে।

আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুল ইসলাম বলেন, সহিংসতা রোধে নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচনী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত চারটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এসব ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এসপি