ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন খোকন, সাবেক প্রচার সম্পাদক আবুল কাশেম ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

খোকন, কাশেম ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতারের জন্য গতকাল রোববার (১৪ নভেম্বর) আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছে স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন।

লিখিত আবেদনে বলা হয়, খোকন ও কাশেম তাদের সহযোগীদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর এলাকায় আমদানি-রফতানি পণ্যবোঝাই ট্রাক আটকে ট্রাক প্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন। কোনো ট্রাকচালক চাঁদা দিতে অনীহা জানালে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। তাদের ভয়ে ট্রাকচালকরা পণ্য পরিবহনে অনীহা প্রকাশ করছে। এতে করে বন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, খোকন, কাশেম ও তাদের সহযোগীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনলে আগামী ২০ নভেম্বর থেকে স্থলবন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। এতে করে সরকার বন্দর থেকে যেমন রাজস্ব হারাবে, তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন থেকেও বঞ্চিত হবে।

তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ বানোয়াট উল্লেখ করে জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন খোকন বলেন, আমরা আমাদের ট্রাকচালকদের আটকে ৫০ টাকা করে চাঁদা তুলব এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? উল্টো বন্দরের প্রভাবশালীরা আমাদের ট্রাক থেকে চাঁদা তোলে। গতকালও আমাদের এক ট্রাকচালককে বেধড়ক পিটিয়েছে তারা। 

আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, চাঁদাবাজির কারণে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। চাঁদাবাজদের গ্রেফতার না করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমানা আক্তার বলেন, আগেও আমি শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বসেছিলাম। তখন তারা শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের জন্য টাকা তোলার সপক্ষে সংগঠনের রেজুলেশন দেখিয়েছিল। এখন বন্দরের ব্যবসায়ীদের লিখিত আবেদনের বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর