বাগেরহাটের মোংলা বন্দরে এম ভি ফারদিন-১ নামে কয়লাবোঝাই কার্গো ডুবে যাওয়ার ঘটনায় নিখোঁজ আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া থেকে ভাটার দিকে নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া যায়। এ নিয়ে ডুবে যাওয়া কার্গোর নিখোঁজ পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

এর আগে গত সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় বন্দরের হারবাড়িয়া-৯ নম্বর বয়া এলাকায় পানামা পতাকাবহী জাহাজ হ্যান্ডিপার্কের ধাক্কায় ডুবে যায় কয়লাবোঝাই কার্গো এমভি ফারদিন-১। এতে কার্গোতে থাকা সাত নাবিকের মধ্যে পাঁচ নাবিক ডুবে যান। এ দুর্ঘটনায় এখনও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন মোংলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হাসান বাবুল বলেন, তিনজন নিখোঁজ থাকা অবস্থাতেই সংশ্লিষ্টরা বুধবার (১৭ নভেম্বর) উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে নিখোঁজদের পরিবার লাশের সন্ধানে দুর্ঘটনাকবলিত এলাকায় খোঁজ করতে থাকে। একপর্যায়ে শুক্রবার সকালের দিকে হাড়বাড়িয়া-৯ নম্বর এলাকায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখেন তারা। এরপর তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

শুক্রবার উদ্ধার হওয়া মরদেহটি ওই কার্গোর স্টাফ রবিউল ইসলামের (১৮)। তার বাড়ি পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি এলাকায় বলে জানা গেছে। তবে রবিউলের বাবা কার্গোর মাস্টার মো. মহিউদ্দীন (৬০) ও পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার জিহাদ ওরফে জিসান এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

নিহত রবিউলের দুলাভাই নান্না মিয়া বলেন, আমার শ্যালক রবিউল ও শ্বশুর মহিউদ্দীন ডুবে যাওয়া ওই কার্গোতে চাকরি করতেন। হাড়বাড়িয়া এলাকা থেকে অনেক দক্ষিণে প্রায় হিরণ পয়েন্টের কাছাকাছি এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রবিউলের মরদেহ ভেসে ওঠে। জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখান থেকে আজ উদ্ধার করে আনা হয়েছে।

মোংলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, জেলেদের মাধ্যমে খবর পেয়ে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ডুবে যাওয়া কার্গো থেকে বেচে ফেরা শ্রমিকরা মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তানজীম আহমেদ/আরএআর