নিখোঁজের আট দিন পার হলেও উদ্ধার হয়নি বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার বার্থী তাঁরা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী (১২)। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

গৌরনদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন জানান, নিখোঁজ স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। আশা করছি শিগগির তাকে উদ্ধার করা যাবে। উদ্ধার হলে বলা যাবে ঘটনা আসলে কী ঘটেছিল।

শনিবার নিখোঁজ ছাত্রীর বাবা বলেন, ১৩ নভেম্বর সকাল ৯টার দিকে আমার মেয়ে স্কুলে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি। ওই দিন সন্ধ্যায় ওর সঙ্গে থাকা মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও রিসিভ করেনি। 

এ ঘটনার পর শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) সকালে একটি নম্বর থেকে আমার ভাগ্নের ফোনে কল আসে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে নিজেকে রংপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমাদুল হক পরিচয় দিয়ে বলা হয়, আমার মেয়েকে অজ্ঞান অবস্থায় রাস্তার পাশে পাওয়া গেছে। এ সময় এক যুবককে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। 

আশঙ্কাজনক অবস্থায় আমার মেয়েকে উদ্ধার করে রংপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে তার অপারেশন দরকার। অপারেশনে পনের থেকে ত্রিশ হাজার টাকার প্রয়োজন। অপারেশনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে টাকা পাঠাতে বলেন। অন্যথায় টাকা নিয়ে কাউকে রংপুর হাসপাতালে যেতে বলেন। বিষয়টি জানার পর ওই ব্যক্তির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মেয়েকে উদ্ধার ও চিকিৎসার বিস্তারিত ঘটনা তাদের জানায়। 

তিনি আরও বলেন, আমরা টাকা পাঠাতে রাজি হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থার ছবি ওই ব্যক্তিকে পাঠাতে বললে তিনি ছবি পাঠাতে রাজি হয়। এরপর ওই ব্যক্তির ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুরে সদর ও মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানায় পরিদর্শক (তদন্ত) এমাদুল হক নামে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা নেই।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এসপি