পিরোজপুরের কাউখালীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরসহ সাতজন আহত হয়েছেন। শনিবার (২০ অক্টোবর) রাতে উপজেলার ৪ নং চিড়াপারা-পারসাতুরিয়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন- দক্ষিণ নিলতী এলাকার মৃত আবুল কাশেম খানের ছেলে আবুল খাঁন মওদুদ, মৃত মোসলেম তালুকদারের ছেলে মিন্টু তালুকদার, চিরাপাড়া এলাকার বশিরউদ্দিন মোড়লের ছেলে মো. মামুন মোল্লা, মৃত মোদাচ্ছের আলী সরদারের ছেলে মো. এনায়েত সরদার, সুবিদপুর এলাকার মো. মজিবুর রহমান হাওলাদারের ছেলে মো. মাইনুল ইসলাম, মৃত জব্বার শিকদারের ছেলে মো. বেলায়েত শিকদার, দক্ষিণ চিরাপাড়া এলাকার মো. সালেহ আহমেদ তালুকদারের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন তালুকদার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ৪ নং চিড়াপারা-পারসাতুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে জাতীয় পার্টির (জেপি) আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সমর্থিত সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। শনিবার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। 

সংঘর্ষে নৌকার নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরসহ দুই পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের প্রথমে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে কয়েকজনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বজলুর রহমান নান্নু বলেন, এ ঘটনার ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। আমার সমর্থকরাও ওখানে ছিল না। তৃতীয় পক্ষের কেউ এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়ে আমার ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ খান খোকন বলেন, সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী বজলুর রহমান নান্নু মিথ্যা বলেছে। ঘটনার সঙ্গে সে এবং তার ছেলেরা জড়িত। আমার সাতজন কর্মী আহত হয়েছে। চারজন কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি এবং তিনজনকে বরিশালে পাঠানো হয়েছে।

কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বণি আমিন জানান, রাতে সাইকেল প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। নৌকার নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আবীর হাসান/এসপি