তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নেত্রকোনার পূর্বধলায় ভোটের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন দুই জা। তারা একই এলাকায় সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এক বাড়ির মানুষ হয়েও দুজনই ভোটের মাঠে নিজেদেরকে তুলে ধরছেন আলাদা প্রতীকে। অথচ দিন শেষে ফিরছেন একই বাড়িতে।

দুই জায়ের এমন ভোটযুদ্ধকে বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছেন স্থানীয় ভোটাররাও। দুই জাও সমঝোতায় যেতে না পেরে তাদের জয়-পরাজয়ের ভার ছেড়ে দিয়েছেন ভোটারদের হাতে। তবে নির্বাচনে দুই জায়ের এমন ভোটযুদ্ধ ভোটারদের মধ্যে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। 

ওই দুই প্রার্থী হলেন- পূর্বধলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের তারাকান্দা গ্রামের মো. আব্দুল জব্বারের স্ত্রী সুফিয়া বেগম এবং আব্দুল জব্বারের সহোদর ছোট ভাই মো. আবুল হাশিমের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার সুমি।

দুই জায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তফসিল ঘোষণার পর পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে বড় জা সুফিয়া বেগম ও ছোট জা সাদিয়া আক্তার সুমি দুজনই নির্বাচনে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। প্রথমে দুজনই ভেবেছিলেন তাদের মধ্যে সমঝোতা হবে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে একাধিক বৈঠকও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। তাই অবশেষে দুজনই চূড়ান্তভাবে প্রার্থী হন। নির্বাচনে সুফিয়া বেগম মাইক প্রতীক এবং সাদিয়া আক্তার সুমি তালগাছ প্রতীক বরাদ্দ পান। একই পদে দুই জা ছাড়াও আরও দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এ নিয়ে বড় জা সুফিয়া বেগম বলেন, নির্বাচনে অংশ নিতে আমি আগে থেকেই মাঠে গণসংযোগ করে আসছিলাম। তখন সুমির নির্বাচনে অংশ গ্রহণের আগ্রহ ছিল না। পরে সেও নির্বাচনে প্রার্থী হয়। এখন ভোটাররাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।

ছোট জা সাদিয়া আক্তার সুমি বলেন, নির্বাচন করব বলে আমি আগে থেকেই পোস্টার ছাপিয়ে প্রার্থিতা ঘোষণা করেছিলাম। কিন্তু আমাদের দুজনের মধ্যে সমঝোতা না হওয়ায় দুজনই প্রার্থী হয়েছি। এখন ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই ভোট দেবেন।

জিয়াউর রহমান/আরএআর