ছবি: সংগৃহীত

এসএসসি পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়ার সময় এক মেয়ে পরীক্ষার্থীর ওড়না ধরে টান দেওয়ার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বখাটেরা ওই পরীক্ষার্থীর পাঁচ সহপাঠীকে পিটিয়ে আহত করেছে। মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আশুজিয়া বানেটেক কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো এসএসসি পরীক্ষার্থী সোপান, নাঈম, রিয়াদ, মোস্তফা ও রানা। তাদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় মোস্তফা ও রানাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার পৌরনীতি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে উপজেলার আশুজিয়া বানেটেক কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে যায় একই উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের ওই পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়ার সময় স্থানীয় ভগবতীপুর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে হৃদয়, সিংহেরগাঁও গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে সজীব ও একই গ্রামের রাজিব মিলে ওই ছাত্রীর ওড়না ধরে টান দেয়।

এ সময় মেয়ের সহপাঠী সোপান, নাঈম, রিয়াদ, মোস্তফা ও রানা ঘটনাটির প্রতিবাদ করলে তাদের মারপিট শুরু করে ওই বখাটেরা। এতে ওই পাঁচ পরীক্ষার্থী আহত হয়।

আশুজিয়া জেএনসি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. এজাহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি কেন্দ্রের বাইরে রাস্তায় ঘটেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসীকে নিয়ে মিটিং ডেকেছি। তারপর পরবর্তী সিদ্বান্ত নেব।

এ নিয়ে আশুজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি মীমাংসার জন্য সান্দিকোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় আগামী বৃহস্পতিবার সালিস বৈঠক বসবে। এতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সালিসে ঘটনাটি সমাধান করতে না পারলে আমরাই আইনের দ্বারস্থ হব।

তবে সান্দিকোনা ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, আশুজিয়ার চেয়ারম্যান ঘটনাটি মীমাংসার প্রস্তাব দিয়েছেন ঠিকই কিন্তু আমাদের পাঁচটা ছেলে আহত। এর মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। তাই এ অবস্থায় বিষয়টি মীমাংসার সালিসে বসা সম্ভব নয়।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ