শরীয়তপুর জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ধর্ষণ মামলায় মাসুম বেপারী নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। এই মামলায় আরেক আসামি শরীফ সরদারকে খালাস প্রদান করেন আদালত।

মাসুম বেপারী তৎকালীন জাজিরা পৌর মেয়র ইউনুছ বেপারীর ছেলে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) বেলা ১১টায় শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক আব্দুস সালাম খান এ আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান রোকন বলেন, ২০১৯ সালের একটি ধর্ষণ মামলায় মাসুদ বেপারীকে যাবজ্জীবন প্রদান করেন আদালত। অন্য আসামি শরীফ সরদারকে খালাস দিয়েছেন। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট না। কারণ শরীফকে কেন্দ্র করে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মির্জা হজরত আলী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তৎকালীন জাজিরা পৌর মেয়রের ছেলে মাসুদ বেপারীকে আদালত যাবজ্জীবন প্রদান করেন। এতে আরেক আসামি খালাস পেয়েছে। এই মামলায় ১৩ জনের স্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়। আমরা এ রায়ে আপিল করব।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৯ জুন রাতে জাজিরা পৌরসভার মেয়র ইউনুছ বেপারীর ছেলে মাসুদ বেপারী একটি মেয়েকে ধর্ষণ করে। ওই দিন বিকেলে মাসুদ তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য কলেজছাত্রীকে বাড়িতে আসতে বলেন। ওই মেয়ে কাজ শেষ করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাসুদের বাড়িতে যান।

সেখানে মাসুদের পরিবারের কাউকে না দেখে ওই ছাত্রী ফিরে আসার চেষ্টা করেন। তখন মাসুদ তাকে ঘরে আটকে ধর্ষণ করেন। পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা করা হয়। মেয়েটি মাসুদের বাড়ি থেকে বের হয়ে চিৎকার করলে ওই মহল্লার কয়েকজন নারী তাকে উদ্ধার করেন।

পরের দিন জাজিরা থানায় মাসুদ বেপারী ও শরীফ সরদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রী। ৩০ জুন গ্রেফতার হন মাসুদ বেপরী। ১ জুলাই আদালতের মাধ্যমে মাসুদ বেপারীকে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর