মীর লিয়াকত আলী

চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী মুন্সিগঞ্জের কারাবাসে থেকেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

২০১৭ সালে উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদের কক্ষে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়। পরে ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার ৯ মাস পর ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মুন্সিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। সেই মামলার প্রধান আসামি কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মীর লিয়াকত আলী বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকা অবস্থায়ই তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন। 

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, মীর লিয়াকত আলী কারাগারে রয়েছেন। তার পক্ষে আমাদের কাছে সিভি পাঠানো হয়। উপজেলা থেকে যে কয়জন নৌকার মনোনয়ের জন্য আবেদন করেছেন, সবার আবেদন জেলা আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয়। এখান থেকে কারও নাম বাদ দেওয়ার এখতিয়ার আমাদের নেই। জেলা আওয়ামী লীগ যাকে ইচ্ছা বাদ দিয়ে নাম কেন্দ্রে পাঠায়। মীর লিয়াকত আলীর নামটি তারা কেন্দ্রে পাঠিয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. লুৎফর রহমান বলেন, মীর লিয়াকত আলী সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি বর্তমানে একটি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে কারাগারে আছেন। তবে অভিযোগটি বিচারাধীন। তার পক্ষে তার ছেলে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আবেদন জমা দেন। আমরা অন্যদের সঙ্গে তার নামের তালিকাটিও কেন্দ্রে পাঠাই এবং সেখানেও আমরা উল্লেখ করে দেই যে তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাকে কোলা ইউনিয়নে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়ে নাম ঘোষণা করেছে। 

কোলা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কপাসের বলেন, ধর্ষণের ৯ মাস পর ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেন। চেয়ারম্যান সাহেব সেই মামলায় অনেক দিন পলাতক থাকার পর গত আড়াই মাস আগে কোর্টে হাজিরা দিতে গেলে বিজ্ঞ আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। 

সিরাজদিখান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি অনেক আগের। তবে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এর চেয়ে বেশি কিছু আমি জানি না। 

ব.ম শামীম/আরএআর