নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়ার সময় পরীক্ষার্থীর ওড়না ধরে টান দেওয়া ও প্রতিবাদ করায় পাঁচ সহপাঠীকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে নেত্রকোনা আদালতে তাদের সোপর্দ করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার আহত পরীক্ষার্থী উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের বায়েজীদ হোসেন রানার বাবা আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে তিনজনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করে বুধবার কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশ।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলো উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে সজিব (১৫) এবং একই গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে রাজন (১৫)।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন কেন্দুয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহ নেওয়াজ।

ওসি জানান, ঘটনার দিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতেই অভিযান চালিয়ে সজিব ও রাজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং আজ তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) একেএম মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন বলেও জানান ওসি।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চলমান এসএসসি পরীক্ষার পৌরনীতি বিষয়ের পরীক্ষায় অংশ নিতে উপজেলার আশুজিয়া বানেটেক কারিগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে যায় একই উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের ওই আহত পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হওয়ার সময় উপজেলার আশুজিয়া ইউনিয়নের সিংহেরগাঁও গ্রামের স্বপন মিয়ার ছেলে সজিব (১৫), একই গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে রাজন (১৫) এবং ভগবতীপুর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৫) মিলে ওই ছাত্রীর ওড়না ধরে টান দেয় এবং তাকে যৌন নিপীড়ন করে।

এ সময় আহত সহপাঠীরা এর প্রতিবাদ করলে তাদের মারপিট শুরু করে ওই দুই কিশোর। পরে ৫ সহপাঠীকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোস্তফা ও রানাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে সেখানেই তারা চিকিৎসাধীন রয়েছে এবং অন্য আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

মো. জিয়াউর রহমান/এনএ