সপ্তম দফায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছাল আরও ৩৭৯ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ন কেন্দ্রে এখন মোট রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা ‌১৮ হাজার ৪০৫ জন। 

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে নৌবাহিনীর জাহাজ 'বানৌজা পেঙ্গুইন' যোগে নতুন রোহিঙ্গারা আগমন করে।

ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) মোয়াজ্জেম হোসেন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পল্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে গাড়ির মাধ্যমে ১ নং ওয়্যার হাউজ হয়ে ৫৬ নং ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় এক হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় এক হাজার ৮০৪ জন, চলতি বছরের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় তিন হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় তিন হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ চার হাজার ২১ জন এবং ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।

এ ছাড়া গত বছর মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়াশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।

হাসিব আল আমিন/আরআই