ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজীরবেড় ইউনিয়নের চাঁদরতনপুর গ্রামে প্রতিবেশীর সঙ্গে পরকীয়ার অভিযোগে রোজিনা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) রাতে প্রতিবেশী ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে দেখে স্বামী মহিদুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু।

নিহত রোজিনা খাতুন পার্শ্ববর্তী যশোরের চৌগাছা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মেয়ে।

প্রতিবেশীরা জানান, গতকাল রাতে স্ত্রী রোজিনা খাতুন পাশের বাড়ির এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া করেন বলে অভিযোগ করেন মহিদুল ইসলাম। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মহিদুল কাঠের তৈরি ঘাস কাটা যন্ত্র দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই রোজিনার মৃত্যু হয়। নিহত রোজিনার ৫ বছর ও ৩ বছর বয়সী দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ঘটনার পর তার স্বামীসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। 

৭নং কাজীরবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়া নবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিষয়টি শুনার পর আমি চাঁদরতনপুর গ্রামে যাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি, দীর্ঘদিন ধরে পাশের বাড়ির আব্বাসের সঙ্গে রোজিনার পরকীয়া প্রেম চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বিচারও হয়েছে। গতকাল রাতে রোজিনা ও আব্বাসকে কথা বলতে দেখেন মহিদুল। এরপর দুজনের মাঝে উচ্চবাচ্চ হওয়ার একপর্যায়ে মহিদুল কাঠের তৈরি ঘাস কাটা যন্ত্র দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। এতে  ঘটনাস্থলেই তার স্ত্রী মারা যায়। সকালে পুলিশ রোজিনার মরদেহ নিয়ে গেছে।  ঘটনার পর থেকেই মহিদুলসহ বাড়ির লোকজন গা ঢাকা দিয়েছে।

মহেশপুর থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার এসআই তরিকুল ইসলাম জানান, নিহত রোজিনা খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

আব্দুল্লাহ আল মামুন/আরএআর