যশোরের চৌগাছায় ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে তারা। 

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার একটি গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মা চৌগাছা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) ধর্ষকদের গ্রেফতারের পর আদালতে সোপর্দ করেছে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলো- চৌগাছার হাকিমপুর ইউনিয়নের আরাজি সুলতানপুর গ্রামের শাহজাহানের ছেলে এক সন্তানের জনক সোহাগ হোসেন (২৫) ও বিটুল হোসেনের ছেলে বিপ্লব হোসেন (২৩)। 

চৌগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে তারা। ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বাদীর অভিযোগ, মেয়েটি উপজেলার একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে। বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে বিদ্যালয়ের পাশের গ্রাম আরাজি সুলতানপুরের বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক সোহাগ তাকে বিভিন্ন ধরনের কু-প্রস্তাব দিতো। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বাদীর মেয়ের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটের দিকে মেয়েটি প্রতিবেশি মামা জনৈক আলমের বাড়ি যাচ্ছিল। এ সময় গ্রামের কাঁচা রাস্তায় কেউ না থাকার সুযোগে সোহাগ নিজ গ্রামের বিপ্লবের সহায়তায় বাদীর মেয়ের মুখ চেপে ধরে জনৈক সুশংকর পরামানিকের কলাবাগানে নিয়ে যায়। তখন মেয়েটি ডাকচিৎকার করলে আসামিরা তাকে হত্যার হুমকি দেয়। পরে প্রথমে বিপ্লবের সহায়তায় সোহাগ তাকে ধর্ষণ করে। বিপ্লবও সোহাগের সহায়তায় ধর্ষণ করে। পরে আমার মেয়ে বাড়িতে না আসায় তাকে খুঁজতে বের হয়ে রাত আটটার দিকে সুশংকরের কলাবাগানে তাকে কান্নারত বিধস্ত অবস্থায় দেখে উদ্ধার করি।

জাহিদ হাসান/আরআই