টানা ১১ দিনের লড়াই। একের পর এক ধাপ পার হয়ে সফলতার শেষ সিঁড়িতে আরোহন। অবশেষে বিজয় এসে ধরা দিল ৬৫ তরুণ-তরুণীর হাতে। বিনা টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন তারা।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টায় নোয়াখালী জেলার ট্রেইনি রিক্রুট পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদে নিয়োগের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

বিনা টাকায় চাকরি পেয়ে তারা আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন। চূড়ান্ত প্রার্থীর অভিভাবকরা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না তাদের সন্তানদের টাকা ছাড়া পুলিশে চাকরি হবে। কিন্তু সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম।

জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ নভেম্বর থেকে বিভিন্ন পরীক্ষা শেষে জেলার ৬৫ তরুণ-তরুণীকে চাকরি দেওয়া হয়। ব্যাংক ড্রাফটে ১০০ টাকা জমা দিয়ে পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রায় ২৬০০ তরুণ-তরুণী অংশ নেন।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বিপিএম (বার) স্যারের দূরদর্শী পদক্ষেপের কারণে আমূল পরিবর্তন এসেছে বাংলাদেশ পুলিশের নিয়োগ প্রক্রিয়ায়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী স্বচ্ছতা ও সততার এ বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এসব মেধাবীকে পুলিশে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ফলাফল ঘোষণার সময় ওদের হৃদকম্পন টের পাচ্ছিলাম। নিজের রোলটা ঘোষণায় শুনে একে একে ৬৫ জনের মুখে বিজয়ের হাসি। যে হাসি দেখার জন্য আমরা পরীক্ষা কমিটির তিন জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লক্ষ্মীপুর) মংনেথোয়াই মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ফেনী) মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম অপেক্ষায় ছিলাম। গত দুই সপ্তাহ ধরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) দীপক জ্যোতি খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর) খালেদ ইবনে মালেকসহ ৩৫০ জন সদস্য কাজ করেছি। নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করার আত্মতৃপ্তি নিয়ে আজ বাড়ি ফিরছি।

হাসিব আল আমিন/এসএসএইচ