পাবনার চাটমোহর উপজেলার ১১ ইউপিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। শুরুতে ভোটারের ভিড় থাকলেও তিন ঘণ্টাতেই কেন্দ্রগুলো ভোটারশূন্য হয়ে যায়। কিন্তু কেন্দ্রের বাইরে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ভিড় লক্ষ করা গেছে।

সকাল থেকে চাটমোহরের শরৎনগর উচ্চ বিদ্যালয়, কুয়াবাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্তত পাঁচটি কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এসব কেন্দ্রের পাহারায় পুলিশ সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছেন। ভোট নেওয়ার জন্য নির্ধারিত কর্মকর্তারাও আছেন। অনেকক্ষণ পর দু-তিনজন করে ভোটার কেন্দ্রে আসছেন।

ফৈলজানা ইউনিয়নের জগন্নাথপুর বিদ্যালয় কেন্দ্রে পুরুষ-নারী ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ৮৮০ জন। রোববার সকাল ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২২০টি। আরও দুটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২০০টি।

এই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন আলহাজ্ব আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে বাড়িতে কাজকর্ম ঠিক করতে করতে বেলা হয়ে গেলে ভোটকেন্দ্রে আসি। কিন্তু এসে দেখি ভোটকেন্দ্র ফাঁকা। ফলে ঝামেলা ছাড়াই পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাওছার আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, শুরুতে কেন্দ্রে ভোটারদের ভিড় লক্ষ করা গেলেও বেলা বাড়ার পর হঠাৎ কেন্দ্র শূন্য হয়ে পড়ে। তবে একটু পরই ভোটকেন্দ্র আবার উপস্থিতি বাড়বে। তিনি বলেন, ২ হাজার ৮৮০টি ভোটের মধ্যে দুই শতাধিক ভোট নির্ধারিত বুথে পড়েছে।

শরৎগঞ্জ টিএ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে এসেছেন রফিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সকালে ভোটকেন্দ্রে এসে দেখি ব্যাপক ভিড়। সেটা ভেবে বাড়িতে চলে যাই। দুই ঘণ্টা পরে এসে দেখি কেন্দ্র ফাঁকা। তবে বেলা বাড়তে থাকলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, শুরুতে আশানুরূপ ভোটার উপস্থিতি থাকলেও এখন তেমন ভোটার কেন্দ্রে নেই। তবে কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের সমর্থকদের ভিড় রয়েছে। 

ফৈলজানা ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রামের মানুষ অনেকেই ভোট দিয়ে কাজকর্মে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেই জন্য হঠাৎ করে ভিড় হলেও পরে কেন্দ্র ফাঁকা হতে পারে। 

চাটমোহর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলমগীর হোসাইন বলেন, হঠাৎ করে কেন্দ্র ফাঁকা হতেই পারে। তবে সকাল থেকে প্রায় সব ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্রে ভিড় ছিল। আশানুরূপ ভোটার আসছে। 

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটগ্রহণের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে ভোটাররা নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন। কোনো প্রার্থী বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।

রাকিব হাসনাত/এসপি