ঠাকুরগাঁওয়ে নির্বাচনী সহিংসতায় শাহপলি আহমেদ (২৭) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন। রোববার (২৮ নভেম্বর) রাত ১০টায় পীরগঞ্জ উপজেলার ৩ নং খনগাও ইউনিয়নের ঘিঢোক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহপলি ওই ইউনিয়নের হাবিবপুর এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

ঘটনার সময় ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত ছিলেন চৌকিদার খগেন। তিনি বলেন, ভোট শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা করতে বেশ দেরি করছিলেন প্রিসাইডিং অফিসার। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে চশমা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুজ্জামানের সমর্থকদের বিতর্ক হয়। পরবর্তীতে প্রিসাইডিং অফিসার নৌকার প্রার্থী শহীদ হোসেনকে বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেন।

ফলাফল ঘোষণার পর উত্তেজিত কিছু এলাকাবাসী ভোটকেন্দ্র অবরুদ্ধ করে। এ সময় প্রিসাইডিং অফিসার পালিয়ে যান। তবে একটি কক্ষে তিনজন পুলিশ সদস্যসহ ১৫-১৬ জন আনসার সদস্য আটকা পড়ে। 

খগেন আরও জনান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সদর উপজেলার ইউএনও আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান পুলিশ ও ২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য নিয়ে উপস্থিত হয়। নিয়ন্ত্রণ অনুকূলে না থাকায় ক্ষিপ্ত এলাকাবাসীর আক্রমণের শিকার হয়ে গুলি ছোড়েন বিজিবি সদস্যরা। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও চারজন আহত হয়। 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা কোনোভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছিলেন না। নিজেদেরই হামলার শিকার হতে হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যদের ছোড়া গুলিতে একজন নিহত হয়েছে।

এসপি