আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে ১১ ইউনিয়নে মাত্র ৪টিতে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জন্ম স্থান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা যশোদল ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হয়েছেন নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল হক (বাবুল হাজী)। এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী ইমতিয়াজ সুলতান রাজন চশমা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন।

আরও পড়ুন : বাবাকে জেতাতে পারেননি নায়ক সাইমন

বেসরকারিভাবে পাওয়া ফলাফলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইমতিয়াজ সুলতান রাজন চশমা প্রতীক পেয়েছেন ৭ হাজার ২৮১ ভোট ও আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল হক (বাবুল হাজী) নৌকা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৬ হাজার ১৭০ ভোট।

এই পারাজয়ের পরে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে রাত থেকে কিশোরগঞ্জ-নিকলী সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কিছু সময়ের জন্য কিশোরগঞ্জ-ঢাকা রেললাইনেও আগুন দেন তারা।

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত ৪ জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ৪ জন, ১ টিতে জাতীয় পার্টি, বিএনপির সমর্থক ১ জন ও স্থগিত ১ টিতে বিএনপি সমর্থক প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন : ১২ হাজার ভোটারের মধ্যে নৌকার প্রার্থী পেয়েছেন ১০২ ভোট

এরমধ্যে বিন্নাটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শফিকুল ইসলাম (আনারস), বৌলাই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আওলাদ হোসেন (নৌকা), চৌদ্দশত ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থক আতাহার আলী (চশমা), দানাপাটুলি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মাসুদ মিয়া (অটোরিকশা), যশোদল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ইমতিয়াজ সুলতান রাজন (চশমা), কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত বদর উদ্দিন (নৌকা) জয়ী হয়েছেন।

এছাড়া মাইজখাপন ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল কালাম আজাদ (নৌকা), মহিনন্দ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত লিয়াকত আলী (লাঙল), রশিদাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী জহিরুল ইসলাম (আনারস), মারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত মুজিবুর রহমান (নৌকা) ও লতিবাবাদ ইউনিয়নে ১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত অবস্থায় এগিয়ে রয়েছেন বিএনপি সমর্থক আব্দুর রাজ্জাক (চশমা)।

এসকে রাসেল/এমএসআর