মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যানের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার পূর্বরাখি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রোববার তৃতীয় দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধার নেতৃত্বে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সদ্য বিদায় নেওয়া চেয়ারম্যানে আবুল হাসেম লিটনের বাড়ি-ঘরে ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি সদস্য ইসমাইল বেপারির বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা তাদের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে ৭ ভরি স্বর্ণ ও নগদ ৬ লাখ টাকা লুট করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কাউসার দেওয়ান বলেন, বিদায়ী চেয়ারম্যান আবুল হাসেম লিটনের ভাতিজিকে মারধর করলে আমি ছাড়িয়ে দেই। এরমধ্যে পারভেজ মৃধার নেতৃত্বে তার চাচাতো ভাই সুমন মৃধাসহ ১০-১২ জনের ৩-৪টি গ্রুপ ককটেল বিস্ফোরণ ও বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

হামলার শিকার বৃষ্টি আক্তার বলেন, সোমবার বিকেলে তারা বিজয় মিছিল করতে করতে আমাদের বাড়িতে আসেন। পরে আমি বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বলায় আমাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আমি পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী পুলিশ ফাঁড়িতে আশ্রয় নেই।

ভুক্তভোগী লাবনী বেগম জানান, আমার ঘর ভাঙচুর করে ৭ ভরি স্বর্ণ অলঙ্কার এবং ৬ লাখ টাকা লুটপাট করেছে। ঘরে থাকা সমস্ত ফার্নিচার ভেঙে তছনছ করেছে। আমরা ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছি।

চেয়ারম্যানের ছোট ভাইয়ের বউ সায়েলা বেগম বলেন, চেয়ারম্যানের বাসায় ঢুকে বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর করে। চেয়ারম্যানের ২টি ঘর ও তার ছোট ভাই ইসমাইল বেপারির ২টি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। চেয়ারম্যানের ঘরে থাকা টিভি-ফার্নিচার ভাঙচুর, টাকা ও স্বর্ণ অলঙ্কার লুটপাট করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পরাজিত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল হোসেন লিটন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেল ৫টার দিকে মিছিল করে‌ আমার প্রতিপক্ষ বিজয়ী প্রার্থী ও তার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমার বাড়িতে কমপক্ষে ২০০ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আমার ঘর এবং আমার ছোট ভাইয়ের ঘরে লুটপাট এবং ভাঙচুর করা হয়েছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী পারভেজ মৃধার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে মুন্সিগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব ঢাকা পোস্টকে বলেন, পরাজিত প্রার্থীর বাড়িতে হামলা হয়েছে‌। আমি নিজে সরোজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে এ ঘটনায় ১০ থেকে ১১ জনকে ধরে নিয়ে এসেছি।

ব.ম শামীম/এমএএস