নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় বিজিবি নায়েক রুবেল মন্ডল হত্যা মামলায় বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন অন্তিককে প্রধান আসামি করে ৯৫ জনের নামে একটি মামলা হয়েছে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে মামলাটি করেন ললিত চন্দ্র রায়।

মামলার বাদী ঘটনার দিন গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক গুলনাহার বেগম বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, মামলায় অজ্ঞাতনামা অনেককে আসামি করা হয়েছে। রাত সোয়া ১২টার পর ৩০ নভেম্বর মামলাটি রেকর্ড দেখানো হয়েছে।

এদিকে ভোটকেন্দ্রে হামলা, ভাঙচুর ও দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আটজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা হলেন পশ্চিম দলিরাম গ্রামের আনোয়ার হোসেন, ইসমাইল হোসেন, যাদু মিয়া, মজনু মিয়া, শরিফুল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন, মো. নিশাদ ও মো. নিরব।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সারওয়ার আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া ভোটকেন্দ্রে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে রুবেল হোসেন মণ্ডল নামের এক বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ওই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. জোনাব আলী বিজয়ী হন। এতে লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিকের সমর্থকরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ভোটকেন্দ্র ঘিরে রাখেন। নির্বাচনে নিয়োজিতরা ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে যাওয়ার পথে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকদের হামলার শিকার হন।

ঘটনার সময় আত্মরক্ষার জন্য বিজিবি সদস্য রুবেল হোসেন মণ্ডল কেন্দ্রের একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। বিক্ষুব্ধরা তাকে সেখানে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে আক্রমণ থেকে রক্ষায় কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এনএ