কুড়িগ্রাম জেলায় এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। যত দূর চোখ যায়, কেবল হলুদ আর হলুদ। সরিষাগাছের সজ্জিত সমারোহে প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের বুনন করছে। আর প্রতিটি ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন।

সরেজমিনে সোমবার (২৯ নভেম্বর) জেলার অনেক স্থানে ঘুরে সরিষা চাষের এমনই চিত্র দেখা গেছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে কুড়িগ্রামের ৯টি উপজেলার ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ অর্জিত হয়েছে। আরও অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এঁটেল মাটিতেও সরিষা চাষ হয়। তবে এঁটেল-দোআঁশ মাটিতে সরিষার চাষ সব থেকে ভালো হয়। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫ থেকে ৬ মণ সরিষা পাওয়া যায়। আর বেশি কুয়াশা হলে সরিষাখেতের ক্ষতি হতে পারে। সরিষা জমিতে বপন করার পর থেকে তিন মাসের মতো সময় লাগে পরিপক্ব হতে। সরিষার বপনের পর ফুল আসে এক মাস পর। দেড় মাস পর ফুলে সরিষা ধরে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি চার একর জমিতে সরিষা চাষ করছি। ফলন বাম্পার হয়েছে। বাজার যদি ভালো থাকে, ২ হাজার টাকা মণ বিক্রি করতে পারব। তা ছাড়া এ বছর বন্যায় কিন্তু আমন চাষে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

ওই গ্রামের খালেক বলেন, আমার সরিষাখেত খুবই ভালো হয়েছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে আর বাজারে যদি দাম ভালো হয়, তাহলে লাভবান হতে পারব। বাজার যদি পড়ে যায়, তাহলে ক্ষতির মুখ দেখতে হবে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হক বলেন, সঠিক পরিচর্যা পেলে ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার কুড়িগ্রামে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যার কারণে সরিষা চাষ একটু দেরি হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আরও অর্জিত হবে।

মো. জুয়েল রানা/এনএ