কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ইমারুল ইসলামকে হত্যার মামলায় আসামি সাইদুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। 

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাইদুর রহমান (৫৯) দৌলতপুর উপজেলার জামালপুর গ্রামের মকলেছ আলীর ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় অপর আসামি ও একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে ওমর আলীকে (৬৪) বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১২ সালের ৯ আগস্ট বিকেলে বাঁশের খুটি (লাঠি) দিয়ে পাওনাদার ইমারুল ইসলামের মাথায় মারপিট করে রক্তাক্ত জখম ও গুরুতর আহত করে আসামি সাইদুর রহমান। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় চিকিৎসক এবং তারপর কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রাজশাহী যাওয়ার পথে সেদিন রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে দৌলতপুর থানার যান। থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ১০ আগস্ট নিহত ইমারুল ইসলামের স্ত্রী আফরোজা খাতুন বাদী হয়ে দৌলতপুর থানার একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন হয়। 

পরে মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ৩০ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন। 

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আসামি সাইদুর রহমানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 

রাজু আহমেদ/আরআই