আব্দুল কাইয়ুম

মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত মো. আব্দুল কাইয়ুম (৩৬) বাঁচতে চান। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তার বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট করাতে হবে। এজন্য প্রায় ৪০ লাখ টাকা দরকার। আর প্রাথমিকভাবে কেমোথেরাপি দিতে প্রয়োজন অন্তত পাঁচ লাখ টাকা।

তিন বছর ধরে তার চিকিৎসায় পরিবার অনেকটাই নিঃস্ব। চিকিৎসার ব্যয় বহন করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ছয় মাসের শিশুসন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন কাইয়ুম।

কাইয়ুমের বাড়ি ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বহুলী গ্রামে। বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান (৭০)। বাবা এক সময় কাপড়ের ব্যবসা করতেন। এখন বয়স হয়ে যাওয়ায় কাজ করতে পারেন না। ভিটেবাড়ি ছাড়া জমিজমা বলতে কিছু নেই তাদের, যা ছিল কাইয়ুমের চিকিৎসার জন্য বিক্রি করতে হয়েছে।

কাইয়ুমের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় চার বছর আগে থেকে অসুস্থ তিনি। ২০১৮ সালে তার ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে। প্রথমদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তিন বছরে তার চিকিৎসায় প্রতি মাসে অন্তত ২০ হাজার করে টাকা খরচ হয়েছে। শরীরে রক্ত উৎপাদন না হওয়ায় প্রতি মাসে তাকে ১০ ব্যাগ করে রক্ত দিতে হচ্ছে।

ঢাকায় বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আব্দুল কাইয়ুম। সর্বশেষ চিকিৎসা নিয়েছেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে। এখানকার চিকিৎকরা তার বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের কথা জানিয়েছেন। যে চিকিৎসায় প্রায় ৪০ লাখ টাকা খরচ হবে।

 আব্দুল কাইয়ুম বলেন, অন্তত আমার ছয় মাসের শিশু সন্তানের জন্য হলেও বাঁচতে চাই। আমি সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা এগিয়ে আসলে আমার চিকিৎসা সম্ভব। 

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমার চিকিৎসায় প্রায় ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ধারদেনা করে চিকিৎসা করিয়েছি। এখনও ঋণ আছে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা। আমার পরিবারও নিঃস্ব। তারা আর ব্যয় বহন করতে পারছে না। এ অবস্থায় বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।

কাইয়ুমকে অর্থসহায়তা পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়
মো. ফরহাদ হোসেন (বড় ভাই)
হিসাব নম্বর- ০২০০০০২৫৯৮০৩৩
অগ্রণী ব্যাংক, ছোট বাজার শাখা, ময়মনসিংহ।

বিকাশ ও নগদ: ০১৬২৫ ৯১১২২০ (ব্যক্তিগত)
রকেট: ০১৯২০ ৫৬৯১৭২-২

আরএআর