মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় শহিদ (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড  ও  চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (০১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য্য এ রায় দেন। একই মামলা থেকে দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। 

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম শাহিন আলম (২৫)। তিনি ঢাকার ধামরাই উপজেলার গোয়ারীপাড়া এলাকার মৃত আহসান উদ্দিনের ছেলে। 

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শহিদুল ইসলাম স্বাধীনের ছেলে সাহেদ (২৫),  হযরত আলীর ছেলে রাজা মিয়া (২৫), সামছুল হক বেপারীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস এবং মিহির লালের ছেলে বিষ্ণু সুইপার। তাদের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর ও নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। 

একই মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাসপাড়া এলাকার মৃত ফকিরচানের ছেলে রহম আলী ড্রাইভার এবং একই উপজেলার থানাপাড়া এলাকার সেলিম ওরফে তেল সেলিম। 

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, নিহত শহিদ ও আসামি শাহীন আলম মিলে প্রিয় বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থা নামে একটি এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন। ওই এনজিওর চেয়ারম্যান ছিলেন শহিদ। কিছু দিন পর ওই এনজিওতে ১০ লাখ টাকা অনুদান আসে। এই টাকা নিয়ে ২০০৬ সালের ২০ মে রাতে সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া ইউনিয়নের বেতুলিয়া এলাকায় প্রিয় বাংলা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান শহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নেয় হত্যাকারীরা। 

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার আসামিরা নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলায় মোট ২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ এবং আসামিপক্ষে একজনের সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় দেন।

আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট অরবিন্দ পোদ্দার ও দেওয়ান মো. মিজানুর রহমান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মথুর নাথ সরকার মামলাটি পরিচালনা করেন।  

নিহত শহিদ টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকার খোদাবক্স আকন্দের ছেলে।

সোহেল হোসেন/আরএআর