সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ি বাজারে আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের বাবুর্চি ও তার সহযোগীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ি নয়াগ্রামের মৃত রহমত উল্ল্যাহের ছেলে সোহেল (৩৫) ও ওসমানীনগর উপজেলার তাহেরপুর গ্রামের সালমা বেগম (৩৫)। এ ঘটনায় বিলাল উদ্দিন নামে একজনকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি কানাইঘাটের ব্রাহ্মণ গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানাইঘাটের গাছবাড়ি বাজারের আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে বুধবার (০১ ডিসেম্বর) একটি বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ওই অনুষ্ঠানে একজন বাবুর্চি ও তার দুই সহযোগী ছিলেন। রাতে গরু জবাই করে মাংস কাটাকাটি শেষ করে রান্নাঘরের পাশে খাবার খেয়ে রাত ২টার দিকে কমিউনিটি সেন্টারের একটি কক্ষে ঘুমাতে যায়। সেন্টারের নিচ তলায় কনেপক্ষের লোকজনও শুয়ে ছিলেন। সকালে বিয়েবাড়ির লোকজন রান্নার জন্য ঘরের দরজায় গিয়ে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

পরে রান্নাঘরের একটি ফাঁক দিয়ে শিশুকে প্রবেশ করিয়ে দরজা খুলে দেখা যায় সবাই অচেতন অবস্থায় রয়েছেন। পুলিশ তিনজনকে অচেতন অবস্থায় কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় অচেতন অবস্থায় থাকা আরেকজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাতে তিনজন এক কক্ষে ঘুমাতে যান। সকালে ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের একটি ফাঁক দিয়ে শিশুকে প্রবেশ করিয়ে দরজা খুলে তাদেরকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধারের সময় ঘরের মধ্যে কয়েল ও রান্নার প্রচুর কালো ধোঁয়া ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে রাতে মাংস রান্না করে খেয়েছে তারা। ফুড পয়জনিং হতে পারে বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে। তবে পুরো বিষয় ময়নাতদন্ত শেষে বলা যাবে। এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।

আরএআর