পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নে এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ ৪ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে পুলিশ ৩টি জিআই পাইপ উদ্ধার করেছে। 

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে চাঁদভা ইউনিয়নের দাগদহ গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন চাঁদভা ইউনিয়ন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও দক্ষিণ নাগদহ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুল মতিন (৩৮), খামার কোদালিয়া গ্রামের মৃত এজেম আলীর ছেলে যুবলীগ কর্মী ইউসুফ আলী (৩৬), টং বয়ড়া গ্রামের মৃত ফজল আলীর ছেলে মোন্তাজ আলী (৩৫) ও একই গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে মেহেদী হাসান (৩০)।

স্থানীয়রা জানান, ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। হামলার ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে। আতংকে দিন কাটাতে হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়েই চিন্তিত তারা। বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আগেই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানান তারা।

স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওলিউল্লাহ জানান, শুক্রবার রাত আটটার পরে ৬/৭টি মোটরসাইকেলে এসে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থকেরা তার বাড়িতে হামলা চালায়। সে সময় তিনি বাড়িতে না থাকায় তার পরিবারকে হুমকি দিয়ে ঘরের জানালা ও দরজায় আঘাত করতে থাকে। সে সময় ভয়ে কেউ ঘর থেকে বের হয়নি।

ওলিউল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, শনিবারের মধ্যে আমাকে চেয়ারম্যান প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিতে হুমকি দেওয়া হয়েছে। না হলে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আর আমাকে জোরপূর্বক বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্যই এই হামলা করা হয়েছে বলে আমার ধারণা। 

তবে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, আমার সমর্থকেরা তার বাড়িতে হামলা চালায়নি। জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভোটে পরাজয়ের আশঙ্কায় নানাভাবে অপবাদ দিচ্ছে তারা। তদন্ত করলে আসল রহস্য বের হবে।

আটঘরিয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম জানান, শুক্রবার রাতে একদল যুবক চাঁদভা ইউনিয়নের দাগদহ গ্রামের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ওলিউল্লাহর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় চার যুবককে আটক করা হয়েছে।

আটঘরিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, চারজনকে আটক করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফিরোজ কবীর বলেন, কারো বাড়িতে হামলা হয়নি। তবে টহল পুলিশের সামনে তারা পড়লে তাদেরকে আটক করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, আগামী ৫ জানুয়ারি ৫ম ধাপে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার সবকটি ইউপিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

রাকিব হাসনাত/এইচকে