ওমান প্রবাসী এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠে রোয়েনা আক্তার রিয়া নামে এক তরুণীর। সবকিছু ঠিকঠাকই চলছিল। বিয়ের তারিখ ও দিনক্ষণের পালা আসে। তবে হঠাৎ করে বরের পরিবার বেঁকে বসে। সেই ক্ষোভে তরুণী অপহরণ করে হবু বরের ভাতিজাকে। মুক্তিপণ হিসেবে দাবি করেন তাকে বিয়ে করতে হবে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা উদঘাটন করেছে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ।

শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজনগরের ২ নং উত্তরভাগ ইউপির কেশরপাড়া সাকিনস্থ জাবেদ আহমেদের বাড়িতে তার আপন ভাই ওমান প্রবাসী জায়েদ আহমেদের বন্ধু পরিচয় দিয়ে দুইজন লোক আসে। তারা জাবেদের ২২ মাস বয়সী ছেলে আহমেদ ছাইফ রাজকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

জাবেদ আহমেদ বলেন, বিয়ের কথা বার্তা চলছিল। কিন্তু এই মেয়েটে তার বন্ধুদের দিয়ে আমার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যাবে এটা কেউ কল্পনা করেনি। আমি এর বিচার চাই।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জিয়াউর রহমান জানান, এ ঘটনায় জাবেদ আহমেদ রাজনগর থানায় অজ্ঞাত চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পরপরই রাজনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। তখন অপরিচিত একটি মুঠোফোন থেকে জাবেদের মা সুফিয়া বেগমের নম্বরে ফোন আসে। 

ওই ফোন কলের সূত্র ধরে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিলেট জেলার ওসমানীনগর থানার তাজপুর বাজারস্থ কদমতলা এলাকা থেকে শিশু ছাইফকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে ওসমানীনগরের পশ্চিম রুকন পুরের মৃত কনাই মিয়ার মেয়ে রোয়েনা আক্তার রিয়াকে গ্রেফতার করে। শিশু ছাইফ রাজনগর থানা নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে নিরাপদ হেফাজতে রাখা হয়েছে। অন্যান্য আসামিকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

ওমর ফারুক নাঈম/এসপি