খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত শোক সভা হয়েছে। সভায় ভিডিওকলের মাধম্যে সংযুক্ত ছিলেন কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম হোসেনের স্ত্রী সাবিনা খাতুন রিক্তা। 

রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে কুয়েটের কর্মকর্তা ক্লাবে এ সভার আয়োজন করা হয়। 

সভায় কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার স্বামী কোনো রাজনীতি করতো না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের বাইরেও কোথাও যেতেন না। সে কেমন মানুষ ছিল তা আপনারাই ভালো জানেন। এখন আমি সাড়ে ৬ বছরের একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আনিকাকে নিয়ে কোথায় যাব?

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করে বলেন, তার স্বামী মারা যাওয়ার ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কুয়েট কর্তৃপক্ষকে মামলা করার জন্য বলেছেন। বর্তমানে তাকেও বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তার একমাত্র মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য তার যোগ্যতা অনুয়ায়ী তাকে কুয়েটে নিয়োগ দেওয়ার অনুরোধ জানান।

কুয়েট শিক্ষক সমিতি আয়োজিত শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস। সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র কুমার সরকারের পরিচালনায় বক্তৃতা করেন প্রফেসর ড. মো. রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আশরাফুল গনি ভুইয়া, প্রফেসর ড. পল্লব কুমার চৌধুরী, প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, প্রফেসর ড. সাইফুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. শাহাজান, প্রফেসর ড. মোস্তফা সরোয়ার, প্রফেসর ড. শিবেন্দ্র শেখর সিকদার, প্রফেসর ড. রাফিজুল ইসলাম।

শোক সভা শেষে বাদ আছর কুয়েট জামে মসজিদে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রসঙ্গত, গত ৩০ নভেম্বর বেলা ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ঘটনায় জড়িতদের স্থায়ী বহিষ্কারসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি। ৪ ডিসেম্বর কুয়েট কর্তৃপক্ষ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করলেও শিক্ষক সমিতি তাদের স্থায়ী বহিষ্কারসহ সকল দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত তাদের আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস জানান। 

মোহাম্মদ মিলন/এমএএস