করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে ভারতে। অথচ এ নিয়ে সতর্ক হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে।  

দেখা যাচ্ছে, নামে মাত্র ইমিগ্রেশন যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপা হলেও ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে পণ্য নিয়ে আসা ট্রাক চালকদের বিষয়ে বাড়তি কোনো সতর্কতা নেই। ফলে এ বন্দর দিয়ে ওমিক্রন আক্রান্ত কারও বাংলাদেশে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।    

ভারত থেকে পণ্য নিয়ে আসা বিদেশি চালক গোবিন্দ রায়ের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা যখন ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করি এবং বাংলাদেশ থেকে পণ্য খালাস করে ভারতে প্রবেশ করি তখন আমাদের দেশে আমাদের তাপমাত্রা রেকর্ড করে, গাড়ি স্প্রে করাসহ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করলেও বাংলাদেশে এসে কিছুই দেখিনি। কোনো জীবাণুনাশক স্প্রে, তাপমাত্রা নির্ণয়, এমন কি কাউকে মাস্কও পড়তে দেখছি না। খুব আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে বাংলাবান্ধায় এসে। 

একই কথা বলেন ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ থেকে পণ্য নিয়ে আসা বাংলাদেশি চালক কুদরতউল্লাহ। তিনি বলেন, বন্দরে এসে ভারত, ভুটান ও নেপালের চালকরা সামাজিক দূরত্ব বজায় ও মাস্ক না পরে  যে যার মতো করে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো নজরদারি দেখছি না। আমরা দেশীয় চালকরা খুবই আতঙ্কে আছি। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আমরাও ঝুঁকির মধ্যে পড়বো। 

এ বিষয়ে বাংলাবান্ধা আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই খুদা মিলন বলেন, আমাদের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর করোনা মহামারিতেও খোলা ছিল। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ-ব্যবসায়ী সবার প্রচেষ্টায় আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় কেউই করোনায় আক্রান্ত হয়নি। যেহেতু ভারতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়ছে, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরে আমরা ব্যবসা পরিচালন করার চেষ্টা করছি। তবে বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা কামনা করছি আমরা। 

বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের পোর্ট ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর একটি চতুর্দেশীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। মহামারি করোনা  ভাইরাসের সময় যেভাবে সতর্ক অবস্থানে থেকে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চলছে ঠিক এখনও সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমদানি-রফতানির কার্যক্রম চলছে। সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে তার জন্য প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। 

মো. রনি মিয়াজী/এনএফ