ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় সংক্রমণ ঠেকাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াতকারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং করোনার উপসর্গ থাকলে চেকপোস্টেই পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ৭০-৮০ জন ভারতীয় যাত্রী আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসছেন। একই সঙ্গে চিকিৎসা ও ব্যবসায়ীক ভিসা নিয়ে এ চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশি যাত্রী পারাপারও হচ্ছে।

ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে সতর্কতা হিসেবে ভারত থেকে আসা যাত্রীরা টিকার দুই ডোজ গ্রহণ এবং করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদ আছে কি না সেটি দেখা হচ্ছে। এর পাশাপাশি ওমিক্রনের উপসর্গ থাকলে তাৎক্ষণিক পরীক্ষা করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

এজন্য চেকপোস্টে হেলথ স্ক্রিনিং বুথ করা হয়েছে। বুথে একজন মেডিকেল অফিসার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও এখন পর্যন্ত কোনো যাত্রীর শরীরেই ওমিক্রনের উপসর্গ পাওয়া যায়নি।

চেকপোস্টের হেলথ স্ক্রিনিং বুথের দায়িত্বরত চিকিৎসক ফয়জুন্নেচ্ছা আমিন জানান, বাংলাদেশে প্রবেশ করা মাত্র ভারতীয় যাত্রীদের কাছে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কাগজপত্র আছে কি না সেটি নিশ্চিত করা হয়। পাশাপাশি কারও কোনো উপসর্গ আছে কি না সেটিও দেখা হচ্ছে।

সিভিল সার্জন মো. একরাম উল্লাহ জানান, আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে দেশে আসা যেসব যাত্রী ওমিক্রন শনাক্ত হওয়া দেশগুলোতে ভ্রমণ করেছেন- তাদের হেলথ স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। পাশাপাশি তারা টিকার দুই ডোজ নিয়েছেন কি না এবং শরীরে ওমিক্রনের উপসর্গ আছে কি না, সেটি দেখা হচ্ছে। যদি উপসর্গ থাকা কোনো যাত্রী পাওয়া যায়, তাহলে চেকপোস্টেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আজিজুল সঞ্চয়/এমএসআর