মাদারীপুর সদর উপজেলায় সদ্য অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে কুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেনের পক্ষে কাজ না করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাতুব্বরকে পিটিয়ে আহত করলেন প্রার্থীর ছেলে বেলায়েত হোসেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মাহমুদুল হাসান। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আগাম জামিন নিয়েছেন আদালত থেকে।

এর আগে সোমবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ত্রিভাগদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সুলতান মাতুব্বরকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাতুব্বর কুনিয়ার ত্রিভাগদি বাজারে কাজ শেষ বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেনের ছেলে বেলায়েত হোসেন ও কয়েকজন মিলে তাকে লাঠিসোটা দিয়ে পেটাতে থাকে। এতে তিনি বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করলে তাতে ব্যর্থ হয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

পরে আহত সুলতান আহমেদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে বেলায়েত হোসেনসহ ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাতুব্বর বলেন বলেন, ইসমাইল হোসেনের ছেলে তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এর আগে আমার বসবাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় আমার স্ত্রী ও দুই মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ফেলে মৃত্যুর হুমকি দেয় তারা। যেকোনো সময় ইসমাইল হোসেনের লোকজন আমাদের মেরে ফেলতে পারে। তাই আমরা আইনের সহযোগিতা নিয়েছি।

অভিযোগের বিষয় বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। তিনি এলাকা থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন বলেও স্থানীয় একটি সূত্রে জানা গেছে।

তবে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসমাইল হোসেন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে কে বা কারা মেরেছে, তা জানি না। এখন সে শত্রুতার বসে আমাদের জড়িয়েছে। আমরা ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। আমি বিষয়টি জানি না।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, এ ঘটনায় মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাদী হয়ে থানায় মামলা দিয়েছেন। সদর হাসপাতালে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ মাতুব্বরকে দেখে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাজমুল মোড়ল/এনএ