সাতক্ষীরায় ২১৪৫ হেক্টর জমির ফসল ভাসছে পানিতে
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিনের অতিবৃষ্টিতে সাতক্ষীরার উপকূলীয় বেড়িবাঁধের কোনো ক্ষতি না হলেও ভেসে গেছে দুই হাজার ১৪৫ হেক্টর জমির ফসল। এছাড়া বৃষ্টিতে কিছু মাছের ঘের ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
সাতক্ষীরা সদরের কাশেমপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জানান, ৮ বিঘা জমিতে আমন ধান করেছিলাম। দুই বিঘা জমির ধান কেঁটে বাড়িতে এনেছি। দুই বিঘা জমির ধান কেটে জমিতেই রাখা ছিল আর বাকি চার বিঘা জমির ধান এখনো কাটা হয়নি। বৃষ্টির কারণে সব নষ্ট হয়ে গেছে। জমিতে এখন পানির ওপর ভাসছে ধান।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, ৮ বিঘা জমিতে ধান রোপন করতে ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছিল। ধানগুলো ঘরে তুলতে পারলে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হতো। এখন খরচের টাকাও উঠবে না। অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে টানা দুই দিন অতিবৃষ্টিতে জেলায় ৮৭০ হেক্টর জমির আমন ধান, ১০ হেক্টর জমির বোরো বীজতলা, ১১৩৫ হেক্টর জমির সরিষা, ১৩০ হেক্টর জমির সবজি আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ির উপ-পরিচালক নুরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমন মৌসুম চলছে। জেলায় ৮৭০ হেক্টর জমির আমন ধান অতিবৃষ্টিতে ভেসে গেছে। এই ধানগুলোর মধ্যে কিছুটা কেটে জমিতে রাখা ছিল। আর কিছুটা কাটতে বাকি ছিল। এছাড়া ৪৭০ হেক্টর জমির বোরো ধানের বীজতলার মধ্যে ১০ হেক্টর বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাছাড়া ১১ হাজার ৩৩৫
হেক্টর জমির সরিষা আবাদের মধ্যে ১১৩৫ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত, ৬ হাজার ৫৩৫ হেক্টর সবজির মধ্যে ১৩০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে জেলার কিছু মাছের ঘের ভেসে গেছে। তবে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হয়নি। কেননা, বাগদার মৌসুম শেষ হয়েছে। নতুন করে মাছ ছাড়ার জন্য ঘের প্রস্তুত কার্যক্রম করছেন চাষিরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ক্ষতির পরিমাণ না চাওয়ায় জরিপ করা হয়নি।
আকরামুল ইসলাম/এমএএস