আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ডা. মুরাদ হাসান এক সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। এখন আমার মনে হয়, তিনি যা করেছেন, তা ছাত্রদল থেকেই শিখে এসেছেন। তার আচরণ ও কর্মকাণ্ড সেখান থেকে পাওয়া শিক্ষারই ফল।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ফেনী শহরের পিটিআই স্কুল মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ডা. মুরাদ যে আচরণ করেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোনো সৈনিক, শেখ হাসিনার প্রকৃত কর্মীর পক্ষে এমন আচরণ করা সম্ভব নয়। বিএনপির নেতা তারেক রহমানও বিভিন্ন সময় এমন আচরণ করেন। বিএনপি এমন রাজনীতিই করে থাকে। প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে তারা বের হতে পারেনি

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেতারা প্রেসক্লাবের সামনে নাটক করে, কিন্তু রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চায় না। ক্ষমা না চাইলে তো কাজ হবে না। রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে বিষয়টি হয়তো বিবেচনা করা হতে পারে। রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ করলে তিনি যেকোনো জায়গায় যেতে পারবেন। তবে দণ্ড স্থগিত করে তাকে বাইরে পাঠানোর কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে পুঁজি করে রাজনীতি করতে চাইছে। দেশে অনেক উন্নত চিকিৎসা আছে। বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা পাচ্ছেন।

ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাফেজ আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং সম্প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম আমিন।

আরএআর