‘চাচ্চু আম্মুকে মেরে মোবাইল নিয়ে যায়’
সাভারের আশুলিয়ায় এক কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীকে (২৮) শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়েছে দেবর। বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে নরসিংহপুর এলাকার ডেকো পোশাক কারখানার সামনের একটি বাড়ি থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত মারুফা পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানার জাটিবুনিয়া গ্রামের মোস্তফার মেয়ে। তার স্বামীর নাম আল-আমিন। আল-আমিন কুয়েত প্রবাসী বলে জানা গেছে। মারুফা স্থানীয় শারমিন গ্রুপের একটি কারখানায় চাকরি করতেন। তার মারজানা নামে একটি ১২ বছরের মেয়ে ও ফাহিম নামে একটি ৬ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত পলাতক দেবরের নাম হাসান (৩০)। তিনি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার লেমুয়া গ্রামের জাকিরের ছেলে। তিনি প্রায়ই মারুফার বাসায় যাতায়াত করতেন।
নিহত মারুফার ছোট্ট শিশু সন্তান ফাহিম বলে, গতকাল হাসান চাচ্চু বাসায় এসেছিল। তিনি আম্মুর সঙ্গে মারামারি করে আম্মুর মোবাইল নিয়ে যায়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানায়, তারা সকালে কাজে চলে যায়। ফিরে এসে দেখে তখনও মারুফা ঘুম থেকে ওঠেনি। পরে ঘরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলে থানায় খবর দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, নিহতের স্বামী কুয়েত প্রবাসী। ৫ মাস আগে চাকরির জন্য মারুফা এই এলাকায় আসেন। দুই মাস তার মামার সঙ্গে থেকে তৃতীয় মাস থেকে আলাদা বাসা নেন। সেখানে মারুফার মামাতো দেবর হাসানের যাতায়াত ছিল। আমরা খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছি। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরেধে হত্যা করা হয়েছে। গতরাতের কোনো এক সময় তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা হাসানকে আটকের চেষ্টা করছি। তাকে আটক করতে পারলেই বিস্তারিত জানা যাবে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসিব বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
মাহিদুল মাহিদ/এসপি