১০ বছর আগে সেতুটি ভাঙা শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে ভাঙতে ভাঙতে চলাচলের অযোগ্য হলেও বাঁশের মাচা বসিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে নিরুপায় কয়েক হাজার মানুষ। সেতুতে তৈরি হওয়া বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে প্রায়ই ঘটছে মারাত্মক দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার জানানো হলেও নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

মাদারীপুর সদর উপজেলা খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর গ্রামের মৌলভীর খালের ওপর এটিএম বাজারের পাশে অবস্থিত সেই সেতুটি। চলাচলের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির ওপর বাঁশের মাচা বিছিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, এ সেতু নির্মাণের ফলে ইউনিয়নের ফরাজীকান্দি, মাঝেরকান্দি, মাদবরকান্দি, ডিগ্রি খোয়াজপুর, ভসারচরসহ ৭ গ্রামের মানুষের যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়ন হয়। তবে পলেস্তারা খসে পড়তে পড়তে সেতুর অন্তত ৫টি স্থানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বর্তমানে সেতুটি মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গ্রামের হাজারো মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা সেতুটি। কিন্তু এর এমন বেহাল থাকায় প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে খোয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর গোবিন্দপুর গ্রামের চর গোবিন্দপুর ইউকে উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন খালের ওপর ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অর্থায়নে নির্মিত সেতুতে প্রায় ১০ বছর আগে ফাটল দেখা দেয়। এরপর থেকে ধীরে ধীরে পলেস্তারাও খসে পড়তে শুরু করে।

এটিএম বাজারের ব্যবসায়ী ওবাইদুল বলেন, আমাদের গ্রামের সব ব্যবসায়ীর যাতায়াত এই সেতু দিয়ে। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। ১০ বছর ধরে গর্ত বড় হয়েছে। কিন্তু সেতু নির্মাণ হয়নি। রাত হলে এটি হয় মরণফাঁদ। দ্রুত সেতুটি নতুন করে পুনর্নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে।

চরগোবিন্দপুর স্কুলের ছাত্রী সুরাইয়া বলে, যখন সেতু পার হই, তখন ভয় লাগে। আমরা দ্রুত একটি সেতু চাই। সেতুটি নির্মাণ হলে আমরা স্কুলের ছাত্রছাত্রী নির্ভয়ে স্কুলে আসা-যাওয়ার করতে পারব।

খোয়াজপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাদল বেপারী বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে সেতুটি নির্মাণের পর এলাকাবাসীর উপকার হয়েছিল। কিন্তু অন্তত এক দশক আগে এটি অকেজো হয়ে পড়ে। তারা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কয়েকবার উদ্যোগ নিলেও বরাদ্দ পাননি।

মাদারীপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান বলেন, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে নতুন করে নির্মাণ করা হবে। আগামী জুনে অর্থ বরাদ্দ পেলে সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করে দেব।

নাজমুল মোড়ল/এনএ