টাঙ্গাইলের সখীপু‌রে নির্বাচনে ‌নৌকা প্রতীক পাওয়ার পরও বি‌দ্রোহী প্রার্থীর কাছে হে‌রে মস‌জিদ ভে‌ঙে টিন নি‌য়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক ইউপি চেয়ারম‌্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিমের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার (৭ ন‌ভেম্বর) তিনি মস‌জিদ‌টি ভে‌ঙে টিনসহ মালামাল ট্রাক‌যো‌গে নি‌য়ে গেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। 

এর আগে চেয়ারম‌্যান থাকাকালে ২০১৮ সালের দিকে উপ‌জেলার বহু‌রিয়া ইউনিয়ন প‌রিষ‌দের জমিতে টিন দিয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করে দেন গোলাম কিবরিয়া সেলিম। গত ১১ নভেম্বর সখীপুর উপ‌জেলায় ইউনিয়ন প‌রিষদ নির্বাচন অনু‌ষ্ঠিত হয়। এতে বি‌দ্রোহী প্রার্থী নুরে আলম মুক্তার কাছে হেরে যান তিনি। 

গোলাম কিবরিয়া সেলিম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিনের ছেলে। নির্বাচনে হারার পর চেয়ারম‌্যা‌নের মসজিদ ভেঙে নেওয়ার ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে উপজেলার বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে গোলাম কিবরিয়া সেলিম নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের দিকে বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সের জমিতে টিন দিয়ে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন চেয়ারম্যান। 

মসজিদের পাশের বাসিন্দা সরোয়ার আলম বলেন, মসজিদটি ভেঙে নেওয়ার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। এতে করে ইউনিয়নবাসীর সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি কাজটি ভালো করেননি। এখন বিকল্প হি‌সে‌বে গ্রামবাসী মিলে একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করার উদ্যোগ নেওয়া হ‌বে। 

বহু‌রিয়া ইউনিয়‌নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নুরে আলম বলেন, চেয়ারম‌্যান নির্বা‌চিত হ‌লেও এখনো শপথ হয়‌নি। ইউনিয়ন কমপ্লেক্সের ওয়াকফ করা জমিতে যেহেতু এ মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল সে‌টি ভেঙে নেওয়ার অধিকার তার নেই।  

সা‌বেক চেয়ারম‌্যান গোলাম কিবরিয়া সেলিম বলেন, আমার খালাতো ভাই ইব্রাহিম হোসেনের ব্যক্তিগত টাকায় ওই নামাজখানাটি টিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। গত কয়েক মাস ধরে ওই স্থানে কেউ নামাজ আদায় করছে না। ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে ওই নামাজখানাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, নামাজখানা হলেও তিনি তা ভেঙে নিয়ে যেতে পারেন না। কাজটি তিনি ভালো করেননি। এ ধরনের কাজ ইসলাম সমর্থন করে না।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর