পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসিন আলম (৪০) নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। শনিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে নিহতের বাবা মোজাম্মেল হক মোজা বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, গুলিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিহতের ঘটনায় তার বাবা মোজাম্মেল খান মোজা বাদী হয়ে ৩৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। 

তিনি আরও বলেন, পুলিশ ঘটনা তদন্তে কাজ করছে। তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ দুজনকে আটক করা হয়েছে। আটক দুজনকে কারাগারে পাঠানো হবে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রোববার সকালে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে ভাড়ারা ইউনিয়নের চারা বটতলার ইন্দারা মোড় কালুরপাড়া এলাকায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু সাঈদ খান ও তার লোকজন এবং ভাড়ারা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের সুলতান মাহমুদের লোকজনও বের হয়। 

বিদ্রোহী প্রার্থীর সঙ্গে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান মাহমুদের আপন চাচাতো ভাই আনারস প্রতীকের ইয়াছিন আলম জড়ো হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। 

এ সময় উভয় পক্ষের ১২ জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াছিন আলম নাটোরের বনপাড়ায় মারা যান। এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন স্থগিতও করা হয়েছে।

রাকিব হাসনাত/এসপি