সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হলো শত কুমির
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সুন্দরবনে ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সুন্দরবনের চারটি স্থানে এই কুমির অবমুক্ত করা হয়।
দুপুরে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সামনের নদীতে আনুষ্ঠানিকভাবে কয়েকটি কুমির অবমুক্ত করেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তালুকদার। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ওই নদীতে ৪০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় প্রধান বন সংরক্ষক (সিসিএফ) মো. আমির হুসাইন চৌধুরী, খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে, সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন, বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের খুলনা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবিরসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের সামনের নদীতে ৪০টি ছাড়াও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সাতক্ষীরা এলাকায় ২০টি, খুলনায় ২০টি এবং শরণখোলা রেঞ্জ এলাকায় ২০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে। অবমুক্ত করা এসব কুমিরের বয়স দুই বছরের মতো। চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে জন্ম নেওয়া এসব কুমিরের ওজন ৮ থেকে ২০ কেজির মতো।
বিজ্ঞাপন
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী রয়েছে। ইতোমধ্যেই এই ম্যানগ্রোভ বন থেকে দুই প্রজাতির হরিণ, দুই প্রজাতির গণ্ডার, এক প্রজাতির বন্য মহিষ ও মিঠাপানি প্রজাতির কুমির বিলুপ্ত হয়ে গেছে। লবণপানি প্রজাতির কুমিরও সুন্দরবনে কিছুটা সংকটাপন্ন।
তিনি আরও বলেন, জলবাযু পরিবর্তনসহ নানা কারণে সুন্দরবনে বন্যপ্রাণী হুমকির মুখে রয়েছে। সর্বশেষ জরিপে এই বনে লবণপানি প্রজাতির দেড়শ থেকে দুইশ কুমির রয়েছে বলে বলা হয়েছে। যা সুন্দরবনের ৪৫০টি নদ-নদী ও খালসহ ১৮৭৪.১ বর্গ কিলোমিটার জলভাগের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এই অবস্থায় কুমিরের সংখ্যা বাড়াতে বন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে সুন্দরবনে ১০০টি কুমির অবমুক্ত করা হয়েছে।
তানজীম আহমেদ/আরএআর