একসঙ্গে তিন দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় এরই মধ্যে ৯৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে কক্সবাজারে। এই ছুটিতে পর্যটকদের পদচারণে মুখর থাকবে কক্সবাজার, এমনটাই জানিয়েছেন হোটেল-মোটেল ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। তাই পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত কক্সবাজার জেলাবাসী।

ট্যুরিস্ট পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সৈকতে সমবেত হন ২ লাখের বেশি পর্যটক। আগামী ১৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিজয় দিবসের ছুটি। পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুুটি। সে হিসাবে ১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর তিন দিনের ছুটি পাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ছুটি কাটাতে হোটেল-মোটেলে অগ্রিম বুকিংয়ের হিড়িক পড়েছে কক্সবাজারে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট তোফায়েল বলেন, কক্সবাজারে পর্যটকদের ধারণক্ষমতা অনেক। বেশি পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। তারই একটি প্রমাণ এই অগ্রিম বুকিং। এরই মধ্যে ৯৫ শতাংশ হোটেল-মোটেল অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।

সমুদ্র বাড়ি রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, গত ১০ তারিখের আগেই আমাদের সবগুলো রুম বুকিং হয়েছে। আগামী ১৬ থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব কক্ষ অগ্রিম বুকিং দেওয়া আছে। নতুন কাউকে রুম দেওয়া সম্ভব নয়।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন বলেন, ১৬ ডিসেম্বর পর্যাপ্ত পর্যটকদের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন, মাস্ক পরিধানের নির্দেশসহ পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে রেখেছি।

এনএ