কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পূর্বশত্রুতার জেরে দানেজ আলী (৫৫) নামে এক মাছচাষিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের বিলশুকা গ্রামের মাঠে দানেজকে একা পেয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় দানেজ আলীর ছেলে উজ্জ্বল বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় ১০ জনের নামে হত্যা মামলা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভেড়ামারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পার্থ। নিহত দানেজ আলী ভেড়ামারা উপজেলার ধরমপুর ইউনিয়নের বিলশুকা গ্রামের মৃত হামিজ উদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে। দানেজ আলী মাছচাষি ছিলেন।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলের দিকে দানেজ আলী বিলশুকা গ্রামের মাঠে নিজের গমখেতে গেলে পূর্বশত্রুতার জেরে জিয়াউল ইসলাম জিয়া (৪২), রবিউল (৪৬), আছান (৫২), সাগর (২৪), শিমুল (২৮), লিপন (৩৬), শাহীন, শ্যামল ও সুজনসহ আরও কয়েকজন রামদা, হাসুয়া, লাঠিসোঁটা, হাতুড়ি দিয়ে দানেজকে কুপিয়ে ও মারপিট করে পালিয়ে যায়।

এতে গুরুতর আহত হন দানেজ আলী। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত দানেজ আলীর ছেলে স্বপন আলী ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 

নিহতের ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান এলাকাবাসীর। নিহতের পরিবার-পরিজন হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

মামলার বাদী উজ্জ্বল আলী বলেন, দুই মাস আগে প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের পুকুরে মাছ লুটপাট করতে আসেছিল। বাধা দেওয়ায় সে সময়ও তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়ে কয়েকজনকে আহত করেছিল। এবার মাঠে আমার বাবাকে একা পেয়ে হত্যা করল। তারা এলাকা এলাকায় সন্ত্রাসী কাজ করে থাকেন।

ভেড়ামারা থানার এসআই পার্থ ঢাকা পোস্টকে বলেন, নিহতের ছেলে উজ্জ্বল মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই প্রকাশ রায় বলেন, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে  মামলা করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রাজু আহমেদ/এমএসআর