ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে

ভারতের সহকারী হাইকমিশনার শ্রী সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। মহান বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পাদদেশে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহীস্থ ভারতের সহকারী হাইকমিশনার শ্রী সঞ্জীব কুমার ভাটি। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক রফিক হাসান বাবলু আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। 

এ সময় সহকারী হাইকমিশনার শ্রী সঞ্জীব কুমার ভাটি বলেন, বিজয়ের মাস উল্লাস আর আনন্দের মাস। ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত মিত্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে মুজিববর্ষকে ঘিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন এবং বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতিও এসেছিলেন। এতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে। এমনকি আগামীতে এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের উন্নয়নে সব সময় পাশে রয়েছে ভারত। 

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান মো. তানবিরুল আলম, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. শঙ্কর কুমার কুন্ডু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁপাইনবাবগঞ্জ শাখার সদস্য মো. সুজাতুল আলম কল্লোল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. রবিউল ইসলাম। এর আগে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন উড়ানো হয়।

এদিকে, বিকেল পৌনে ৪টায় জেলা শহরের শিবতলার চরজোতপ্রতাপ দুর্গামাতা ঠাকুরাণী মন্দিরে প্রধান অতিথি হিসেবে ভারতের সহকারি হাইকমিশনার মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও গীতাজয়ন্তী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এ সময় মন্দির কমিটির সভাপতি বাসুদেব নন্দী ও সাধারণ সম্পাদক অজিত দাস ভারতের সহকারী হাইকমিশনারকে শুভেচ্ছাস্বরূপ কাঁসার থালা উপহার দেন। পরে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ডাবলু ঘোষ ও সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় চ্যাটার্জি ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। শেষে ভক্তদের মাঝে গীতাদান ও দুস্থদের মাঝে কম্বল বিতরণ এবং নির্মিত মন্দির পরিদর্শন করেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার। 

মো. জাহাঙ্গীর আলম/আরআই