সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ দুইজনের নামে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মামলার আবেদন খারিজ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই আবেদন খারিজ করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ন কবীর আবেদনটি খারিজ করেন।

বুধবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. রবিউল হক দোলন বাদী হয়ে মামলার আবেদন করেন। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ২০৩ ধারায় মামলার আবেদন খারিজ করা হয়। 

আইনজীবী মোল্লা হাসান শরীফ ঢাকা পোস্টকে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বিচারক আবেদন খারিজ করেন। এ নিয়ে বাদীর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনও উচ্চ আদালতে আবেদন খারিজের বিষয়ে রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে। 

মামলার আবেদনে বাদী অভিযোগ করেন, ১ ডিসেম্বর এক সাক্ষাৎকারে সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলক জিয়া পরিবার ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমান সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। যা যেকোনো নারীর জন্য অপমানজনক। যা পরবর্তীতে আসামি ডা. মুরাদ হাসান তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রচার করেন। 

দ্বিতীয় আসামি মহিউদ্দিন হেলাল নাহিদ ওরফে নাহিদ হেলাল এই বক্তব্য ধারণ করে ইউটিউবে আপলোড করায় আসামিদ্বয়ের অশালীন মিথ্যাচার ও নারীর প্রতি অবমাননামূলক বক্তব্য মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে আমি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার আবেদন দাখিল করি।

গতকাল বুধবার (২২ ডিসেম্বর) আদালতের বিচারক মো. হুমায়ন কবীর বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছিলেন। ১৮৬০ সালের পেনাল কোড ১৫৩-ক/৫০৫-ক/৫০৯ ধারায় মানহানি ও শ্লীলতাহানির অপরাধে মামলার আবেদন করা হয়েছিল।

জাহাঙ্গীর আলম/এমএসআর