র‌্যাবের মহাপরিচালক ও অ্যাডিশনাল আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ পরিদর্শন করে আমি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছি। এ ছাড়া প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, জনপ্রতিনিধি সবাই একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে কাজ করছি।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ রোগীদের পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড কোনো নাশকতা কি না তা চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি শিঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট দেবে। এ ছাড়া এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদেরকে গ্রেফতারের জন্য আমাদের টিম মাঠে রয়েছে। গোয়েন্দা তৎপরতা চলছে। আমরা আশা করছি দ্রুত তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।

তিনি আরও বলেন, আহতদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে র‌্যাব। প্রয়োজনে র‌্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে গুরুতর রুগীদের ঢাকায় নেওয়া হবে। আজকে হেলিকপ্টারে করে দুজনকে ঢাকাতে নিয়ে যাবো। কালকে কেউ গুরুতর থাকলে তাদেরকেও ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হবে।

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল, রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, বরিশাল র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক জামিল হাসানসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে শতাধিক যাত্রী দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই