লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মধ্য হামছাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নৌকার ভোট প্রকাশ্যে দিতে বাধ্য করছে বহিরাগত নেতাকর্মীরা। এতে বাধা দেওয়ায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন বিনু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থক (আনারস) ও জেলা পরিষদের সদস্য আরিফুর রহমানকে লাথি মারে। 

এরপর পরই ভোট কেন্দ্র এলাকায় হট্টগোল শুরু হয়। অনেক ভোটার কেন্দ্র থেকে বাড়ি চলে যান। আরিফের লোকজন ভোটকেন্দ্রের জানালায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে জানা গেছে।

এদিকে ভোটকেন্দ্রে ঢুকলেই নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা প্রধান এজেন্ট শওকত হোসেন ও বহিরাগতরা ভোটারদের নৌকায় সিল মারতে বাধ্য করছেন। এ ঘটনার ভিডিও করতে গেলে রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওস) মোহাম্মদ সোলাইমান কনস্টেবলকে দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীকে বাধা দেন। বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে ওসি বলেন, ঘটনাটি আমি দেখতাছি। আপনার ভিডিও করার দরকার নেই। 

এছাড়া এ কেন্দ্রে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার নারী কাউন্সিলর রাহিমা বেগম, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী রেজাউল করিম রিয়ান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল মাহমুদসহ অর্ধশতাধিক বহিরাগতকে দেখা গেছে।

মধ্য হামছাদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জিল্লুর রহিম কলেজের প্রভাষক মো. মাসরুর আলম বলেন, এটি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র। শুরু থেকে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ র‍্যাব ও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ওপেনে কোনো ভোট হবে না। যে যার মতো ভোট দেবেন। কেউ বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে হাজিরপাড়া, উত্তর জয়পুর ও ভবানীগঞ্জে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে। সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি সরব রয়েছে। 

হাসান মাহমুদ শাকিল/এসপি