ভূমিহীন থাকার কারণে চাকরি নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়া সেই আছপিয়া ইসলাম কাজলকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে তাকেসহ নিয়োগপ্রাপ্ত সব ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

বরিশাল জেলা পুলিশ থেকে জানানো হয়েছে, সাতজন নারী ট্রেইনি রিক্রুট এবং ৪১ জন কনস্টেবল পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সব পরীক্ষা ও যোগ্যতায় উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ নিয়োগপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ সময় পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন নিয়োগপ্রাপ্তদের উদ্দেশে পেশাজীবনে সৎ, কর্তব্যপরায়ণ হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেন, সুদীপ্ত সরকার, ইকবাল হোছাইন, আব্দুর রব হাওলাদার, ফরার সরদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত, পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে বরিশাল জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ সদর দফতর। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল জেলা থেকে টিআরসি পদে ৭ জন নারী ও ৪১ জন পুরুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হিজলা থেকে অনলাইনে আবেদন করেন আছপিয়া ইসলাম। ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি।

২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও কৃতকার্য হন। ২৪ নভেম্বর পুলিশ লাইনসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাতালিকায় পঞ্চম হন আছপিয়া। ২৬ নভেম্বর পুলিশ লাইনসে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে কৃতকার্য হন আছপিয়া। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিয়োগ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি।

কারণ, আছপিয়ার স্থায়ী ঠিকানা ছিল। বিষয়টি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে নজরে আসে প্রধানমন্ত্রীর। তার নির্দেশনায় সরকারি জমি ও ঘর উপহার দেওয়া হয় আছপিয়ার পরিবারকে। একই সঙ্গে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পান আছপিয়া ইসলাম কাজল।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এনএ