আছপিয়া ইসলাম কাজল

পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চূড়ান্ত নিয়োগ পেয়েছেন আলোচিত আছপিয়া ইসলাম কাজল। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নিয়োগপত্র হাতে পান বলে আজ রোববার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে নিশ্চিত করেন আছপিয়া। জটিলতা কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চাকরি পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ও দেশবাসীকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে তার পরিবার। পাশাপাশি চাকরি জীবনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্র আছপিয়ার হাতে শনিবার রাতে তুলে দেন হিজলা থানার উপ-পরিদর্শক মো. মিজান। নিয়োগপত্রে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার মধ্যে তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবহার্য সামগ্রী নিয়ে জেলা পুলিশ লাইনসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। সেখান থেকে রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নারী টিআরসিদের ৬ মাসের প্রশিক্ষণের জন্য রংপুরে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, নিজ যোগ্যতায় সাত স্তরের পরীক্ষায় পঞ্চম হয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পরও স্থায়ী ঠিকানা না থাকায় কলেজছাত্রী আছপিয়ার চাকরি নিয়ে শংকা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় আছপিয়াকে জমিসহ ঘর এবং যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়। বরিশাল জেলা প্রশাসন তার জন্য হিজলায় খাস জমিতে ২ কক্ষবিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, টিআরসি পদে বরিশাল জেলায় ১০ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পুলিশ সদর দফতর। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বরিশাল জেলা থেকে টিআরসি পদে ৭ জন নারী এবং ৪১ জন পুরুষ নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী হিজলা থেকে অনলাইনে আবেদন করেন আছপিয়া ইসলাম। ১৪, ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বরিশাল জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত শারীরিক যোগ্যতা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ১৭ নভেম্বর লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফলেও কৃতকার্য হন। ২৪ নভেম্বর পুলিশ লাইনসে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধা তালিকায় পঞ্চম হন আছপিয়া।

২৬ নভেম্বর পুলিশ লাইনসে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২৯ নভেম্বর মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ঢাকার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চূড়ান্ত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে কৃতকার্য হন আছপিয়া। তবে চূড়ান্ত নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশনে নিয়োগ থেকে ছিটকে পড়েন তিনি। কারণ তিনি বরিশাল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা নন। এই নিয়োগ পাওয়ার অন্যতম শর্ত ছিল জেলার স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর/জেএস