মাদারীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর ওপর হামলার মামলায় প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে মাদারীপুর রাজৈর উপজেলা ইশিবপুর ইউনিয়নের গ্যংকান্দি শাখারপাড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন ইশিবপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ মোল্লার ছেলে ও মামলার প্রধান আসামি সোহেল মোল্লা ও একই এলাকার জহিরুল মাতুব্বর।

রাজৈর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে অভিযোগ মামলা হিসেবে নেওয়ার পর থেকেই আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

তবে হামলার মূল হোতা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে বাদ দিয়ে পুলিশ মামলা নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদী গোলাম রাব্বানীর বাবা এম এ রশীদ আজাদ।

রশীদ আজাদ বলেন, মামলা থেকে হামলার মূল হোতা নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোশারফ মোল্লার নাম বাদ দিয়েছে থানা। অথচ ঘটনার দিনেই আমি থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করি। আর এক দিন পর তার নাম বাদ দিয়ে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। পরে চেয়ারম্যানের ছেলেকে প্রধান আসামি করে মামলা নেওয়া হয়। এখন বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাচ্ছি।

তবে অভিযোগের ব্যাপারে রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সাদিক বলেন, নির্বাচন-পরবর্তী ব্যবস্থা সামাল দিতে ঘটনার দিন মামলায় সময় দিতে পারেননি। সোমবার রাতে মামলা নিয়ে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে আসামিকে গ্রেফতার ও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। যারা প্রকৃত দোষী, তাদেরই আসামি করা হয়েছে। নির্দোষ ব্যক্তিদের যেন হয়রানি করা না হয়, সেভাবেই মামলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের গাংকান্দি সরকারি বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত ২৬ ডিসেম্বর বেলা পৌনে ৩টার দিকে হামলার শিকার হন গোলাম রাব্বানী।

গোলাম রাব্বানী ওই দিন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে মোশারফ মোল্লার লোকজন প্রকাশ্যে ভোট কেটে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। পরে আমিসহ কিছু লোক গিয়ে বিষয়টি জানার চেষ্টা করলে আমাকে অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে মোশারফ মোল্লা বলেন, গোলাম রাব্বানী কেন্দ্র দখল করতে এসেছিলেন। পরে তাকে প্রতিহত করেছে স্থানীয়রা। নির্বাচনে রাব্বানীর মামা সালাহ উদ্দিন ইশিবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে হেরে যান।

নাজমুল মোড়ল/এনএ