বছর তিনেক আগে আতিয়ার রহমান লাবুর নার্সারি থেকে বেশকিছু আম গাছের চারা কিনেছিলেন কলম হোসেন নামে এক ব্যক্তি। গাছগুলো বড় হলেও আমের মুকুল না আসায় নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমানকে কুপিয়ে জখম করেছেন কলম হোসেন। 

মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার বড়দুধপাতিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আতিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আহত আতিয়ার রহমান লাবু (৩৮) উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আতিয়ার রহমান দামুড়হুদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার বড় দুধপাতিলা গ্রামের আতিয়ার রহমান দীর্ঘদিন যাবত নার্সারির ব্যবসা করে আসছেন। সেই নার্সারি থেকে বছর তিনেক আগে এলাকার মৃত ইলিয়াস মিস্ত্রীর ছেলে কলম হোসেন বেশকিছু আম গাছের চারা ক্রয় করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর নার্সারি মালিক আতিয়ার রহমানের সঙ্গে দেখা হয় কলম বিশ্বাসের। আম গাছ বড় হলেও এখনো কেন আমের মুকুল আসেনি জিজ্ঞাসা করেন এবং গাছ ফেরত দিতে চাইলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উত্তেজিত হয়ে কলম হোসেনসহ কয়েকজন আতিয়ার রহমানকে বেধড়ক মারধর করে। একপর্যায়ে রামদা দিয়ে আতিয়ার রহমানের মাথায় কোপ দেন কলম হোসেন। পরে স্থানীয়রা আতিয়ার রহমানকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের নিয়ে যান।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. উৎপলা বিশ্বাস বলেন, আতিয়ার রহমানের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের জখম আছে। ক্ষতস্থানে পাঁচটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের আলামত পাওয়া গেছে। তবে তার অবস্থা শঙ্কামুক্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। 

দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  ফেরদৌস ওয়াহিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় রাতেই ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আফজালুল হক/এসকেডি