ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দলিল ও পাসপোর্ট করতে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বাড়তি টাকা ও হয়রানির শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তথ্য অধিকার আইনে কর্মকর্তারা তথ্য দিতে অপারতগতা প্রকাশ করেন। এমনকি অনেক কর্মকর্তা এ বিষয়ে সঠিক দায়িত্ব সম্পর্কেও অবগত নন। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত গণশুনানিতে এসব অভিযোগ করেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

ডিস্ট্রিক পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) সহযোগিতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউসে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন। এতে সরাসরি ৪০ জন এবং ভার্চুয়ালি ২০ জন অংশ নেন।

ডিপিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মো. আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মাহমুদুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি।

শুনানিতে অভিযোগের বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার জানান, তাদের কার্যালয়ে সিটিজেন চার্টার টাঙানো আছে। সে অনুপাতেই ফি পরিশোধ করে গ্রাহকরা সেবা পাচ্ছেন। আর পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক কেউ কোনো ধরনের সমস্যায় পড়লে তার কাছে সরাসরি যাওয়ার আহ্বান জানান। 
 
আজিজুল সঞ্চয়/এসপি