ফাইল ছবি

টানা ১৫ দিন বন্ধ থাকার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ফের চালু হলো হলো করোনা পরীক্ষা। শনিবার (১ জানুয়ারি) হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অব্যাহতি নেওয়ায় গত ১৭ ডিসেম্বর এই ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। তবে চালু ছিল রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আরটি-পিসিআর ল্যাবটি।

নতুন করে ল্যাব চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। তিনি জানান, হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবটি আজ (শনিবার) থেকে পুনরায় চালু করা হয়েছে। এখন থেকে এই ল্যাবটি স্বাভাবিকভাবে এবং পূর্বের নিয়মে চলবে।

জানা গেছে, রামেক হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) বিভাগীয় ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এসএম হাসান এ লতিফ ও হামিদ আহমেদ। ২০২০ সালের মার্চ থেকে তারা দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

ডিএনএ ল্যাবে কাজের চাপ বেড়েছে উল্লেখ করে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর তারা অব্যহতি চেয়ে হাসপাতাল পরিচালক বরাবর চিঠি দেন। এরপরও পরিচালকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তারা ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ল্যাবে কাজ করেন।

কিন্তু ১৭ ডিসেম্বর থেকে তারা আর ল্যাবে আসেননি। ফলে ওই দিন থেকেই বন্ধ হয়ে যায় করোনার নমুনা পরীক্ষা। পরে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বরাবর চিঠি দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি রামেক হাসপাতালের ল্যাবে করোনার নমুনা পরীক্ষার কিট নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ৯ নভেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান শাহ আলমকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত শেষে দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার অব্যহতিসহ উচ্চতর তদন্তের সুপারিশ করে কমিটি।

তবে শুরু থেকেই কিট নয়ছয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন ওই দুই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা। রেজিস্টার খাতায় হিসাব সংরক্ষণের ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি তাদের। ফলে তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের আগেই তারা সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর